ফতেপুর সংবাদদাতাঃ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের গোসাইনপুর গ্রামের নিরীহ কৃষক মোঃ তেরা মিয়াসহ অন্যান্যদের উপর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাসুক আহমদ ও তার বাহিনীর হামলায় মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করার প্রতিবাদে ও দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ফতেপুরের সাধারণ জনতার ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) বাদ আছর স্থানীয় ফতেপুর বাজারে স্থানীয় রাজনীতিবিদ মাওলানা সালমান হোসাইনের সভাপতিত্বে ও হাসান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিস গোয়াইনঘাট উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ জহির। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিস গোয়াইনঘাট উপজেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রহিম, দৈনিক সাদাপাথর পত্রিকার সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ৬নং ফতেপুর ইউনিয়ন শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাস্টার কামাল উদ্দিন, ইসলামী যুব মজলিস গোয়াইনঘাট উপজেলা শাখার সদস্য সচিব কে এম মনসুর আহমদ, খেলাফত মজলিস ফতেপুর ইউনিয়ন শাখার নির্বাহী সদস্য মাওলানা আলী হোসাইন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাওলানা আখলাক হুসাইন একজন নীতিবান আলেম। যিনি নিয়মিত কুরআন-হাদিস ভিত্তিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ওয়াজ মাহফিলে বয়ান করে থাকেন। এছাড়া খেলাফত মজলিসের যুব সংগঠন ইসলামী যুব মজলিস গোয়াইনঘাট উপজেলা শাখার আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি লেখালেখির সাথেও জড়িত রয়েছেন। এই কারণে বিগত আওয়ামী শাসনামলে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করায় অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এমনকি মাস খানেক কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটাতে হয়েছে। তিনি একটি ক্রাইম পোর্টাল এবং দুটি জাতীয় অনলাইন দৈনিকে সংবাদকর্মী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন। গত জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে সামনে থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহন করেন। সিলেটের আন্দোলনকারীদের সাথে থেকে আন্দোলন ত্বরান্বিত করতে আপ্রাণ প্রচেষ্টা করেছেন। যা সিলেটের অনেক ছাত্র-ছাত্রী ও আন্দোলনকারী জনসাধারন অবগত আছেন। যার কারণে স্বৈরশাসকের সহায়তাকারীদের অনেক আগে থেকেই টার্গেটে রয়েছেন তিনি। গত ৫ ফেব্রুয়ারী-২০২৫, উনার বাড়ির দক্ষিণ পাশে উনার গোত্রীয় চাচা সাইদুর রহমানের লাগানো সবজি বাগানে বেআইনি ভাবে প্রবেশ করে আওয়ামী যুবলীগ নেতা মাসুক আহমদ ও তার বাহিনী। প্রবেশ করে তারা প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার টাকার ক্ষতি সাধন করে। সাইদুর রহমান বাধা দিতে আসলে তার উপর প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে। সাইদুর রহমানকে রক্ষা করতে আখলাক হুসাইন এগিয়ে এলে আওয়ামী যুবলীগ নেতা মাসুক বাহিনী তার উপর চড়াও হয়। এই সুযোগে সাইদুর রহমান প্রাণে বেঁচে যান। ৫ তারিখ বিকালে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করন সাইদুর রহমান। ২৫ তারিখ পর্যন্ত কোন তদন্ত করা হয়নি। তাই ২৬ তারিখ মানববন্ধনের আয়োজন করেন তিনি। উক্ত মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন মাওলানা আখলাক হুসাইন, তার পিতা মোঃ তেরা মিয়াসহ প্রতিবেশী অনেক সাধারণ জনতা। মানববন্ধন চলাকালে আওয়ামী যুবলীগ নেতা মাসুক আহমদ ও তার গোন্ডা বাহিনী তাতে আক্রমণ করে। এতে গুরুতর আহত হন মাওলানা আখলাক হুসাইনের পিতা মোঃ তেরা মিয়া। এছাড়া আরো প্রায় ৬/৭ জন ছেঁচা, ফুলা, ফাটা আহত হন। আমরা অতিদ্রুত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
Leave a Reply