দর্পণ ডেস্ক: সিলেট-৪ আসনের (জৈন্তা-গোয়াইনঘাট-কোম্পানীগঞ্জ) নির্বাচনে সংসদ সদস্যের প্রার্থীতা নিয়ে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় উলামা বিষয়ক সম্পাদক মুফতি আলী হাসান উসামা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে স্পষ্ট করেছেন। সোমবার (১৭ মার্চ) রাত প্রায় পৌনে ২টার দিকে ফেসবুকে লিখা তার পোস্ট গোয়াইনঘাট দর্পণ পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল:
খে লা ফ ত মজলিস প্রধানত নির্বাচনমুখী দল নয়; বরং গণআ ন্দো ল ন মুখী দল। সংগঠনের স্লোগানেই ব্যাপারটা স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সংগঠন তা এড়িয়েও চলে না; বরং তৃণমূলে ব্যাপক দাওয়াহ প্রচারের লক্ষ্যে সেটাকে কাজে লাগায়। অতীতে সংগঠনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব শায়খ ওবায়দুল হক উজিরপুরি রাহ. সংসদ সদস্যও ছিলেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থী ঘোষণা দেয়া হয়নি। এগুলো যথাসময়ে হবে। তবে বিভিন্ন জাতীয় স্বার্থে বিভিন্ন আসনে অনেককে কাজ করতে হচ্ছে। সংগঠন করলে সংগঠনের কথাকেই চূড়ান্ত মনে করতে হবে। সুতরাং নির্বাচন যদি দেশে কোনো না-ও হয়, তবুও যাকে যে অঞ্চলে যে কার্যক্রমের দায়িত্ব দেওয়া হবে, সে তা করতে বাধ্য থাকবে।
অনেকেই জানতে চেয়েছেন, আপনি নির্বাচন করবেন কি না? এর জবাবও সংগঠনের ওপর নির্ভরশীল। এগুলো নিয়ে যথাসময়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসবে। সেখানে যা জানানো হবে, সেটাই চূড়ান্ত। কারণ, নির্বাচনের রোডম্যাপ ও তফসিলই তো ঘোষণা হয়নি; তাহলে নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতির আলাপই আসবে কোন যুক্তিতে?
তবে সংগঠনকে তৃণমূলে শক্তিশালী ও জোরদার করার জন্য একেকজনকে একেক অঞ্চলে কাজ করতে হচ্ছে। আমার সাংগঠনিক কাজ করার দায়িত্ব এসেছে তিন থানা জুড়ে, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ। আগামী কয়েক মাসের ভেতরে এই তিনও থানায় সংগঠন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছুবে ইনশাআল্লাহ।
আবারও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, আমাদের স্লোগানই হলো, খে লা ফ ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণ আ ন্দো ল ন গড়ে তুলুন। আর এর জন্য ব্যাপক জনসম্পৃক্ততার কোনোই বিকল্প নেই।
Leave a Reply